হাঁসের ডিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানেন?জানেন না তো!তাহলে আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক হাসের হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং আরও অজানা তথ্য।আমাদের মাঝে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে যে হাঁসের ডিমে কি এলার্জি রয়েছে? এর উত্তরটি জানতে হলে পোস্টটি পড়তে থাকুন। এলার্জি এমন একটি জিনিস যা যেকোনো ব্যক্তির যে কোন খাবার থেকে হতে পারে। এখন আপনাকে দেখতে হবে যে কোন কোন খাবার খেলে এলার্জির সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কারো কারো ক্ষেত্রে হাসের ডিম খেলে এলার্জি হয়,আবার কারো কারো ক্ষেত্রে মুরগির ডিম খেলে অথবা কোয়েল পাখির ডিম খেলে এলার্জি হয়। তাই আপনাকে নির্বাচন করতে হবে যে কোন ডিম খেলে আপনাকে এলার্জির সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়। এ ক্ষেত্রে আপনি এলার্জির বিভিন্ন লক্ষণ দেখে আপনার শরীরে এলার্জি আছে কিনা তা নির্বাচন করতে পারবেন। চলুন জেনে নেই এলার্জির লক্ষণগুলোঃ-
উপরে উল্লেখিত লক্ষণগুলো যদি আপনি হাঁসের ডিম খাওয়ার পর আপনার মাঝে দেখতে পান তাহলে ধরে নিবেন আপনার হাঁসের ডিমের এলার্জি রয়েছে। আর যদি দেখতে না পান তাহলে ধরে নেবেন আপনার হাঁসের ডিমে এলার্জি নেই আশা করছি আপনাদেরকে বোঝাতে পেরেছি হাঁসের ডিম খেলে এলার্জি হয় কিনা এখন চলুন জেনে নেই হাঁসের ডিম খেলে কি প্রেসার বাড়ে?
হাঁসের ডিমের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। হাঁসের ডিমের থায়ামিন, নিয়াসিন, রাইবোফ্লোবিন, প্যানটোথেনিক অ্যাসিড, ভিটামিন-বি৬, ভিটামিন ডি, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ১২ ও রেটিনল ইত্যাদি থাকে। হাঁসের ডিমের সকল ভিটামিন থাকে পরিমাণ থেকে বেশি।১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমের ১৮৫ কিলো ক্যালরি এনার্জি পাওয়া যায়। অনেকেই মনে করে হাঁসের ডিম খাওয়ার ফলের বাতের সমস্যা দেখা দেয়। বাতের সমস্যার কারণ রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া। আমরা জানি ডিমের সাদা অংশে অ্যালবুমিন ইউরিক অ্যাসিড থাকে কিন্তু এত বেশি পরিমাণে থাকে না যে কোন ক্ষতি হবে।
তবে ডিম খাওয়ার কারণে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায় এটা বলা উচিত না। ডিম শক্তি যোগায় হাঁসের ডিমের সকল ভিটামিন বেশি পরিমাণে থাকে যার কারণে শরীরে শক্তি সঞ্চয় বেশি হয়। হাঁসের ডিম খেলে প্রেসার বাড়ে না তবে অতিরিক্ত খেলে গরম বেশি হয়ে প্রেসার বৃদ্ধি পেতে পারে।
হাঁসের ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। হাঁসের ডিম এবং মুরগির ডিমের থেকে আমরা আমাদের সারাদিনের প্রোটিনের একটা বড় চাহিদা পূরণ করতে পারি। হাঁসের ডিমে রয়েছে থায়ামিন, নিয়াসিন,রিবোফ্লাভিন,প্যানটোথেনিক অ্যাসিড, ভিটামিন-বি৬, ভিটামিন ডি, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ১২ ও রেটিনল,ফোলেট সহ ইত্যাদি ভিটামিন রয়েছে হাঁসের ডিমে।
একটি ১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমের ১৮৫ কিলো ক্যালরি এনার্জি পাওয়া যায় এবং মুরগীর ডিমে ১৪৯ গ্রাম ক্যালরি এনার্জি পাওয়া যায়।হাঁসের ও মুরগির ডিমে কার্বোহাইড্রেট ও মিনারেল সমান পরিমাণে থাকে তবে প্রোটিন হাঁসের ডিমে বেশি পরিমাণে থাকে। হাঁসের ডিমে রয়েছে ভিটামিন-এ যা চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে যাকে আমরা চোখের জ্যোতি বলি।
সকালে হাঁসের ডিম খেলে সারাদিনের প্রোটিনের চাহিদা মেটে এবং কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। হাঁস, মুরগি এবং কোয়েল পাখির ডিম যা নিয়মিত খেলে রোগ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় যার ফলে ক্ষতিকর রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে না।
প্রতিদিন হাঁসের ডিম খেলে কি হয় আপনারা অনেকেই এই সম্পর্কে জানতে চান, তাই আমরা এই পোস্টটিতে এই সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো প্রতিদিন হাঁসের ডিম খেলে কি হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন প্রতিদিন অন্ততপক্ষে একটি করে ডিম খাওয়া দরকার, কারণ দিয়ে এমন একটি খাদ্য যেখানে সকল ধরনের উপাদানে পাওয়া যায়। আপনারা প্রতিদিন একটি করে মুরগির ডিম খেতে পারেন তবে প্রতিদিন হাঁসের ডিম খাওয়া ঠিক হবে না। কারণ হাঁসের ডিমের মুরগির ডিমের তুলনায় সকল উপাদানই বেশি পরিমাণে থাকে। আর কারো শরীরে যদি এলার্জি থাকে তাহলে তো তার জন্য হাঁসের সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
তবে আপনি যদি মধ্যবয়স পেরিয়ে যান তাহলে প্রতিদিন ডিম খাওয়া ঠিক হবে না। এই ক্ষেত্রে আপনারা সপ্তাহে অন্তত তিনটি ডিম সেবন করতে পারেন। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন প্রতিদিন হাঁসের ডিম খেলে কি হয়। তাই নিজের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে প্রতিদিন হাঁসের ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকেন। এক্ষেত্রে আপনি সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চারটি হাঁসের ডিম খেতে পারেন।
পুষ্টি চাহিদা মেটাতে ডিমের কোন তুলনা নেই। সিদ্ধ করে ডিম খাওয়াকে সবচেয়ে পুষ্টিকর উপায় মনে করা হয়ে থাকে। কারন সিদ্ধ ডিমের ক্যালরি মোটামুটি কম এতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, প্রোটিন, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। আপনি যদি দ্রুত ওজন কমানোর চেষ্টা করে থাকেন তাহলে সিদ্ধ ডিম আপনাকে সাহায্য করতে পারে। সিদ্ধ ডিমের কুসুম ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমিয়ে উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। তবে অবশ্যই নিয়ম মেনে আপনাকে ডিম খেতে হবে।
ডিমের অনেক উপকারিতা রয়েছে। ডিম খেলে পেটতো ভরেই পাশাপাশি নানা রকম পুষ্টিকর উপাদানও শরীরে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে ভাজা বা অন্য কোন পদের চেয়ে সেদ্ধ ডিমের বেশি উপকার। যে কোন বয়সেই ডিম খাওয়া যায়। সিদ্ধ ডিমে রয়েছে ৭৮ ক্যালোরি,৫ গ্রাম ফ্যাট, ১৮৭ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল,৬২ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট,১ গ্রাম সুগার ও ৬ গ্রাম প্রোটিন। ডিম হালকা সিদ্ধ করা হচ্ছে নাকি বেশিক্ষণ করা হচ্ছে তার উপর পুষ্টিগুন নির্ভর করে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন বেশিক্ষণ ধরে ডিম সিদ্ধ করলে ক্ষতি করে ব্যাকটেরিয়া দূর করা যায়। সিদ্ধ ডিম ওজন কমাতে সাহায্য করে। সিদ্ধ ডিমে সামান্য ক্যালরি থাকায় তা খেলে শরীরে মেদ জমে না। শিশুরা নিয়মিত সিদ্ধ ডিম খেলে দাঁত এবং হাড় শক্তিশালী হয়। গর্ভাবস্থায় মহিলারা নিয়ম খেলে তাদের ও সন্তানের খুবই উপকার হয়।সিদ্ধ ডিম হৃদযন্ত্র সফল রাখতে কোলিন সাহায্য করে। এটি মস্তিষ্কের মেমব্রেন ও পেশি সূগঠিত রাখতে সাহায্য করে যা মস্তিষ্কের ঝিল্লি গঠন করতে সহায়তা করে এবং এটি স্নায়ু থেকে পেশীতে সংবেদন পৌঁছাতে সাহায্য করে।
হাঁসের ডিমের নির্দিষ্ট কোন ক্ষতিকর দিক নেই বললেই চলে তবে কিছু অতিরিক্ত খাওয়া ভালো নয়। ঠিক তেমনি অতিরিক্ত হাঁসের ডিম খাওয়া মোটেই ভালো নয়। প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২ টি বা ১টি করে ডিম খাওয়া ভালো। বেড়ে যেতে পারে এবং খারাপ কলেস্টরল হৃদরোগের কারণ হতে পারে। ডিম পরিমিত খাওয়ার মাধ্যমে আপনি স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে বাঁচতে পারেন। সন্দেহে হাঁসের ডিমের উপকারিতা অনেক তবে কিছু উপকারিতা ও রয়েছে।
হাঁসের ডিমে থাকা ভিটামিন বি ১২ হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। এছাড়াও হাঁসের ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে যা দৃষ্টি শক্তি বাড়ায় এবং রক্ত ও ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। এতে থাকা সেলেনিয়াম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, হাঁসের ডিম রিবোফ্লাভিন সমৃদ্ধ যা একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তবে অতিরিক্ত হাঁসের ডিম খাওয়া একদমই ভালো নয়।
মুরগির ডিমের তুলনায় হাঁসের ডিম আকারে একটু বড় হয়ে থাকে। পুষ্টির দিক থেকে হাঁস এবং মুরগির ডিম একই বলা যায়। প্রতি ১০০গ্রাম হাঁসের ডিমে রয়েছে ১৮১ কিলো ক্যালরি খাদ্য শক্তি এবং প্রতি ১০০ গ্রাম মুরগির ডিমের রয়েছে ১৭৩ কিলো ক্যালরি খাদ্য শক্তি।
এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন
লাইফ স্টাইল,সু স্বাস্থ্য,হেলথ টিপস