অত্যন্ত সুস্বাদু একটি ফল আঙুর।টসটসে রসালো এই ফল খেতে পছন্দ করেন না এমন
কাউকে খুঁজে পাওয়া খুব মুশকিল। ফলের দোকানগুলোতে তিন ধরনের আঙুর দেখা যায় সবুজ
লাল এবং কালো।
দেখেই যেন জিভে জল চলে আসে। শুধু দেখতে ভালো কিংবা খেতে সুস্বাদু নয় এই ফলে
রয়েছে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।তবে সবুজ না কালো কোন
ধরনের আঙ্গুর বেশি উপকারী তা কি জানেন? চলুন জেনে নেওয়া নেই আঙুর খাওয়ার
উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে-
উপকারী একটি ফল আঙুর কিনতে পাওয়া যায় প্রায় সারা বছরই। দেশি ফল না হলেও এটি
বেশ সহজলভ্য। আপনার খাবারের তালিকা প্রতিদিন কোন না কোন ফল তো রাখতে বলাই হয় সে
সব ফলের একটি হতে পারে আঙুর।আঙুরে থাকে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান যা আপনার
শরীরকে ভালো রাখতে কাজ করবে। নিয়মিত আঙুর খেলে মিলবে অনেক উপকার। চলুন জেনে
নেওয়া যাক আঙুর খাওয়ার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে-
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর
প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর আঙুর নানানভাবে শরীরের কাজে লাগে।
এটি খেলে ভালো থাকে হার্ট সেই সঙ্গে ক্যান্সারের আশঙ্কাও কবে অনেকাংশে।
ভালো করে রক্ত সঞ্চালন নিয়ন্ত্রণে রাখে রক্তচাপ। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান
থেকে আঙুরের খোসা ও বীজে যে কারণে খাওয়ার সময় এগুলো বাদ দিবেন না।
সমাধান করে ত্বকের সমস্যা
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে আঙুর ত্বকের সমস্যার সমাধান করতে এবং ত্বকের তারুণ্য
বজায় রাখতে কাজ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে
আঙুরে রয়েছে রেসভারেট্রল।এটি খুব সাধারণ অ্যাকনের ওষুধ বেঞ্জল পারঅক্সাইডের
সঙ্গে মিলে ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে মোকাবিলা করে।ব্রণ হওয়ার জন্য এই ব্যাকটেরিয়াই
দায়ী।
প্রচুর পটাশিয়াম
১৯১ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম পাবেন প্রতি ১০০ গ্রাম আঙুরে। প্রচুর পটাশিয়াম গ্রহণ
করলে শরীরের জন্য নানা রকম উপকার করে। লো সোডিয়াম ও হাই পোটাশিয়াম ডায়েট মেনে
চললে তা উচ্চ রক্তচাপ জনীত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করে।এর ফলে হার্টের
সমস্যার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায় এবং দূর হয় ভাই হা কোলেস্ট্রলের
সমসসাও।প্রচুর পটাশিয়াম গ্রহন করলে তা পেটের নানা ধরনের সমস্যারও সমাধান করতে
পারে।
চোখ ভালো রাখে
চোখ ভালো রাখতে কাজ করে আঙুর এমনটাই দেখা গেছে মায়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক
গবেষণায়। এর কারণ হলো রেটিনায় প্রটেক্টিভ প্রোটিনের মাত্রা বাড়ায় আঙুর।তাই
নিয়মিত আঙুর খেলে চোখ ভালো থাকে।
বাড়ে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা
কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে রেসভারেট্রল মস্তিষ্কের রক্ত প্রবাহ বাড়াতে কাজ
করে। তাই যাদের স্মৃতিশক্তি জনিত সমস্যা রয়েছে নিয়মিত আঙুর খাওয়া তাদের জন্য
দারুন উপকারী।
কালো এবং সবুজ দুই ধরনের আঙুরেই থাকে প্রাকৃতিক চিনি।তবে কালো আঙুরে থাকা ফাইবার
অন্যান্য আঙুরের তুলনায় রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রন করতে অনেক বেশি
সহায়ক,এমনটাই বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে কালো
আঙুর তুলনামূলক বেশি উপকারী।
সবুজ আঙুরের তুলনায় কালো আঙুরে ফলিফেনল নামক উপাদানটি থাকে বেশি। এটি অ্যান্টি-
ইনফ্লেমেটমরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। যে কারণে কালো
আঙ্গুর খেলে তা রক্তে শর্করা কে নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকি
হ্রাস করতে সহায়তা করে। তাই এই ধরনের রোগ থেকে বাঁচতে কালো আঙুর খেতে পারেন
নিয়মিত।
সাধারণত কালো রঙের আঙুরে অন্যান্য রঙের আঙুরের তুলনায় রেসিভেরাট্রোলের
মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপস্থিত রয়েছে বেশি। যা হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখার
সঙ্গে এবং সার্বিকভাবে শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই অন্যান্য রঙের
আঙুরের তুলনায় কালো রঙের আঙুর বেশি লাভজনক।
কালো বা সবুজ যে কোন রঙের আঙুরেই প্রয়োজনীয় খনিজ এবং ভিটামিন রয়েছে।
তাই আঙুর শরীরের জন্য অত্যন্ত ভালো। তবে কালো রঙের আঙুরে ভিটামিন সি
এবং ভিটামিন কে এর মতন নির্দিষ্ট পুষ্টি কিছুটা বেশি পরিমাণে থাকে যা স্বাস্থ্যের
জন্য খুবই উপকারী। তবে হাতের কাছে কালো আঙুর না পেলে সবুজ আঙুর খেলেও চলবে।
অন্যান্য রঙের আঙুরের তুলনায় কালো রঙের আঙুরে রেসিভেরট্রোল নামক পদার্থটি বেশি
পরিমাণে থাকে। যে কারণে এটি রক্তনালীর ক্রিয়ায় সাহায্য করে এবং কোলেস্টেরলের
মাত্রা কমিয়ে দেয়। এটি হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নতিতেও সহায়তা করে।
তাই প্রতিদিন নিয়মিত আঙুর খাওয়ার অভ্যেস করুন। তবে একসঙ্গে অনেকগুলো নয় এক
মুঠো খাওয়াই যথেষ্ট।
কালো আঙুর দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।আঙুরে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে
যা হৃদপিণ্ডের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান।এছারাও এতে পাওয়া
সাইটোকেমিক্যালও সুস্থ হার্টের জন্য বিশেষ।
কালো আঙ্গুর ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। তবে
আপনিও যদি ডায়াবেটিস রোগী হয়ে থাকেন তবে এটি খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের
পরামর্শ নিয়ে নিন।
ভিটামিন ই সমৃদ্ধ কালো আঙুর চুল ও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।এর পাশাপাশি এটি
খেলে ত্বক ফর্সা হয়। কালো আঙুরে রয়েছে ভিটামিন সি কিন্তু আপনার শরীরের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ওজন বৃদ্ধির সমস্যায় ভুগছেন যারা তারা অবশ্যই কালো
আঙুর খাবেন। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এটি ওজন কমাতে কার্যকরী প্রমাণিত হয়।
বিশেষজ্ঞদের মধ্যে কালো আঙুর খেলে শরীরে। জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বি সহজেই
পুড়ে যায়। সুগার রোগের কারণে আজকাল মানুষ কিডনির সমস্যায় ভুগছে। আপনিও
যদি এই সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে অবশ্যই কালো আঙুর খাওয়া উচিত। কালো
আঙুর কিডনি সুস্থ রাখতে খুবই সহায়ক বলে প্রমাণিত হয় শুধু তাই নয় তারা
মূত্রনালী ও পরিষ্কার করে। যা আপনার শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সহায়তা করে।
সারা বিশ্বে অনেক ধরনের আঙুর রয়েছে। লাল,সাদা ও কালো রঙের আঙুর সচরাচর দেখা
যায়। অন্যান্য আঙুরের তুলনায় লাল আঙুরে ক্যালোরের মাত্রা কম থাকে। এতে
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এর দেখা মেলে। এছাড়াও পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম,
ফলেট, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, ও আয়রনের মত প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের উৎস
এই আঙুর। চলুন জেনে নেই লাল আঙুর খাওয়ার ১৮ টি উপকারিতা সম্পর্কে-
১। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
লাল আঙুরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমকে সাহায্য করে।
এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্ল্যাভোনয়েড বা পলিফেনন নামে পরিচিত। এই
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলি রক্তনালীগুলোকে শিথিল করতে এবং প্রদাহ কমাতে
পারে।অ্যাসপিরিনের মতো প্লেটলেটলেটের জমাট বাধার কার্যকারিতা ও কমিয়ে
দেয় এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
২। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে
কম গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্সসহ ফল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই
ভালো।কম গ্লাইসেমিক সূচকের অর্থ হলো ফলের চিনি অবিলম্বে
রক্ত শর্করাকে বাড়াবে না।
৩।ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে
আঙুরে প্রচুর পানি ও ফাইবার রয়েছে। এই দুই উপাদান দীর্ঘক্ষণ পেটে থাকে বলে
সহজে ক্ষুধা লাগে না। এছাড়া এগুলোতে চিনি থাকে না। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে
আঙুর খান তবে রস না খেয়ে আস্ত বল খাবেন।
৪।ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে
লাল আঙুরের বাহিরের আবরণ ও বিজে রিসভারিট্রল নামক এক ধরনের অক্সিডেন্ট এর দেখা
মেলে। এটি আমাদের ত্বক ও শরীরে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
৫।মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
লাল আঙুরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্ক ভালো রাখে ও আলঝেইমারের মত রোগের
ঝুঁকি কমায়।
৬। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে
রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে লাল আঙুরে থাকা রিসভারিট্রল ,
পলিফেনাল, ও ফ্ল্যাভোনইয়েড নামক তিন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
৭।শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক অংশে বাড়বে যদি আঙুর হয় আপনার পছন্দের
ফল।
৮। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
লাল আঙুরে থাকা বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশ কয়েক ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি
কমাতে সক্ষম। এমনটা দাবি করেছে হেলথলাইন ওয়েবসাইট।
৯।হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়ামের মতো খনিজ গুলোর
দেখা মেলে লাল আঙুরে। এগুলো শক্তিশালী হাড় বজায় রাখতে সাহায্য করে।
১০।অনিদ্রার সমস্যা দূর করে
আঙুর হলো মেলাটোনিনের একটি প্রাকৃতিক উৎস। মেলাটোনিন এমন একটি হরমোন যা
আপনাকে ঘুমিয়ে পড়তে সাহায্য করে।
গর্ভাবস্থায় অনেক সময় আঙুর খাওয়ার কথা বলা হয় কারণ এতে অনেক ধরনের পুষ্টিকর
উপাদান থাকে। সীমিত পরিমাণে আঙুর খেলে তা মা এবং সন্তান উভয়ের জন্যই ভালো।
তাহলে জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় কোন রংয়ের আঙ্গুর খাওয়া উপকারীতা
সম্পর্কে-
আঙ্গুরের ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অরগানিক এসিড, ফাইবার, ফলিক এসিড, পেকটিন
ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান থাকে। এছাড়াও আঙুরে ম্যাগনেশিয়াম থাকে যা
গর্ভাবস্থায় পেশির ক্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে।
তবে গর্ব অবস্থায় সবুজ আঙুর খাওয়া উচিত নয়। এটি খেলে গর্ভবতী নারীর
অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে এটি স্বাদেও একটু টক হয়।
এদিকে কালো আঙুরের বাহিরের চামড়া একটু শক্ত হয়, তাই গর্ভবতী নারীদের
এটি হজমে অসুবিধা হতে পারে। আসলে গর্ভাবস্থায় নারীদের হজম প্রক্রিয়া দুর্বল থাকে
তাই কালো আঙুর খেলে হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কিন্তু গর্ভাবস্থায় লাল আঙুর খাওয়া খুবই উপকারী। লাল আমরে
ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি
খেলে রক্তের অভাব দূর হয় পাশাপাশি পেশি ও হাড় মজবুত হয়।
সাইট্রিক এসিডযুক্ত বিভিন্ন ফল যেমন-কমলা, লেবু, জাম, আঙ্গুর, জাম্বুরা প্রভৃতি
খালি পেটে খেলে এসিডিটির সমস্যা হয়। তাই পুষ্টিবিদেরা সকালে এসব ফল না
খাওয়ার পরামর্শই দিয়ে থাকেন।
সাইট্রাস জাতীয় ফলের মধ্যে আঙুর অন্যতম। এই ফলে রয়েছে ভরপুর ভিটামিন সি।
তা সত্ত্বেও আঙুর খেয়ে ঠান্ডা লাগে অনেকেরই।তাই রাতে আঙুর না খাওয়াই ভালো।
তাছাড়াও আঙুরে এসিড থাকায় রাতে খেলে অনেক সময় বুক জ্বালাপোড়া করে।
ঠান্ডা লাগলে আঙুর এমন একটি ফল যা হালকা ও শীতল স্বাদ থাকে এবং আমাদের শরীরে
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। ঠান্ডা লাগলে শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়
এবং তার সংক্রমনের মাধ্যমে তাপমাত্রা কমানো সম্ভব।
ঠান্ডা লাগলে কলা, আঙুর, তরমুজ ও কমলা খাওয়া উচিত নয়। বৈজ্ঞানিকভাবে এটি
প্রমাণিত যে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল ঠান্ডা কাশি দূর করতে সহায়ক পরিমিত পরিমানে ফল
খাওয়া যেতেই পারে। দিনের প্রথম ভাগে ফল খাওয়া উত্তম।
প্রতি ১০০ গ্রাম(৩.৫ আউন্স) -এ পুষ্টিমান
শক্তি
= ২৮৮ কিজু (৬৯kcal)
শর্করা
= ১৮.১ g
চিনি
= ১৫.৪৮g
খাদ্য আঁশ
=
০.৯ g
সবুজ আঙুর হৃদরোগীদের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। সবুজ আঙ্গুরে প্রচুর পরিমাণে
ফাইবার পাওয়া যায় যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। সবুজ আঙ্গুর কোষ্ঠকাঠিন্যের
সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়। এছাড়াও আঙ্গুরে উপস্থিত ফাইবার মলত্যাগকে সহজ করে
তোলে। আপনি যদি রক্তস্বল্পতায় ভুগেন তবে এই সময়ে সবুজ আঙ্গুর খাওয়া আপনার
জন্য উপকারী হবে। এতে শরীরে রক্তের অভাব দূর হয় যা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা
বাড়ায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে কালো এবং সবুজ আঙ্গুরে রঞ্জকের পার্থক্য রয়েছে কালো
আঙ্গুরের কথা বললে এতে অ্যান্থসায়ানিন বেশি থাকে। কালো আঙ্গুরে রঙিন
কেমিক্যাল বেশি থাকে।