বাজারে লিচু আসতে আর মাত্র চার মাস বাকি সারা বছর আমরা অনেকেই অপেক্ষা করি লিচু খাওয়ার জন্য এটি অত্যন্ত সুস্বাদু ও মিষ্টি একটি ফল।
গ্রীষ্মকালীন এই ফল খুবই কম সময়ের জন্য আসে। এর স্বাদ ও গন্ধের জন্য লিচু অনেকের কাছে প্রিয়। শুধু স্বাদই নয়, অত্যন্ত পুষ্টিগুণেও ভরপুর এই ফল এবং নানা রকম অসুখের থেকে আপনাকে দূরে রাখবে এই ফল। তবে বেশি খেলে হতে পারে ক্ষতি।
লিচু হজমের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী একটি ফল। লিচুতে ফাইবার ও প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে যা হজমের জন্য দারুন কাজ করে। গরমে পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি দিয়ে পেটকে স্বস্তিতে রাখে এই ফল। লিচু ত্বকের বলি রেখা দূর করতে সাহায্য করে এবং বয়সের ছাপ করতে দেয় না তারই সঙ্গে ত্বক উজ্জ্বল করে। গ্রীষ্মকালে নিয়মিত লিচু খেলে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন বি ৬ এর দশ শতাংশ পাওয়া যায়। এই ভিটামিন শরীরের লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করে এবং রক্ষা করে প্রদাহ জনিত রোগ থেকে। লিচু একটি অত্যন্ত কার্যকরী ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। এটি খেলে কমে প্রদাহ এবং এটি টিস্যুর ক্ষতি প্রতিরোধ করে।
লিচুতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি ও পটাসিয়াম থাকায় কিডনিতে জমে থাকা দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। এই ফল ইউরিক এসিডের ঘনত্ব কমায়।যে কারণে কমে কিডনির ক্ষতির ঝুঁকি। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী একটি ফল এই লিচু। এতে খুব কম ক্যালরি থাকে, ফলে ওজন বাড়ার কোন ভয় থাকেনা। আঁশযুক্ত ফল হওয়ায় দীর্ঘ সময় এটি পেট ভরিয়ে রাখে,নিয়মিত লিচু খেলে হজম শক্তির উন্নতি হয়।এটি হার্ট ভালো রাখে, এতে রয়েছে অলিগোনল যা নাইট্রিক অক্সাইড তৈরিতে সহায়তা করে এবং নাইট্রিক অক্সাইড আমাদের শরীরে রক্ত চলাচলে সাহায্য করে। লিচুতে আরো রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, আইরন, ম্যাঙ্গানিজ এবং কপার যা হারের ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এই লিচু এই গরমে নিয়মিত লিচু খেলে বাঁচতে পারেন সাধারণ সর্দি ও ফ্লু থেকে।
তাই খেতে সুস্বাদু হলেও ইচ্ছেমত লিচু খাওয়ার সুযোগ নেই।একদিনে সর্বোচ্চ ১০-১২ টি লিচু খাওয়া যেতে পারে।যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য লিচু খুবই উপকারী লিচু ফলের অন্যতম প্রধান স্বাস্থ্য উপকারিতা হলো এক গ্লাস লিচুর রস পান করা খুবই উপকারী হতে পারে কারণ এটি অস্বস্তির লক্ষণ গুলিকে কমিয়ে দেয়। লিচু তে থাকা ফাইবার মলের পরিমাণ বাড়ায় যা মসৃণ মলত্যাগে সাহায্য করে।এভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে এটি এনজাইম উপাদান ট্রিগার করে পুষ্টির আরও দক্ষ শোষণ নিশ্চিত করে।
লিচু ফাইবারের একটি বড় উৎস যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়াও লিচুতে ন্যূনতম চর্বি এবং ক্যালরির সাথে পানির পরিমাণ বেশি। এটি ওজন কমানোর যাত্রায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এটি একটি আদর্শ ফল করে তোলে।
লিচু খাওয়ার অন্যতম প্রধান উপকারিতা হল এটি হাড়কে মজবুত করে কারণ লিচুতে রয়েছে আয়রন, কপার, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গোনিজ ইত্যাদি। এই খনিজ গুলি ক্যালসিয়াম শোষণ বাড়ায় এবং হাড়ের শক্তি বাড়ায়।
তামা, যা লিচুতে পাওয়া যায় মানবদেহে আয়রনের মতই গুরুত্বপূর্ণ। লিচু খেলে তামা থাকার কারণে লোহিত কণিকার উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। এটি বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য দুর্দান্ত এবং এটি সঠিক রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে।
লিচুর স্বাস্থ্য উপকারিতা গুলির মধ্যে রয়েছে- ত্বকের ক্ষতি করে এমন ফ্রী জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে যার ফলে বলি, দাগ , সুক্ষম রেখা এবং বার্ধক্য জনিত অন্যান্য লক্ষণ দেখা যায়। এছাড়াও নিচুতে থাকা ভিটামিন ই রোদে পরা জ্বালাপোড়া ব্যথা এবং ত্বকের ক্ষতিকর কারণ হতে পারে। এভাবে তো অসুস্থ ও উজ্জ্বল রাখে।
এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন
ফলের বৈশিষ্ট্য,লাইফ স্টাইল,সু স্বাস্থ্য,হেলথ টিপস