কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

ফলের তালিকার মধ্যে কলা এমন একটি ফল যেটি সারা বছরই পাওয়া যায়। এবং এর যত পুষ্টিগুণ রয়েছে তা বলে শেষ করা সম্ভব নয়। ছোট বড় সবাই কলা খেতে পারবে। এটি রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে এবং হজম ক্ষমতাকে বাড়াতে সহায়তা করতে পারে।


আপনি যদি জানতে চান কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং যাদের জন্য কলা খাওয়া মানা তাহলে আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন আশা করছি আপনি উপকৃত হবেন তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক-

কলা খাওয়ার উপকারিতা

কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের হাড়কে শক্ত রাখতে এবং মজবুত করতে সহায়তা করে। শুধু তাই নয় ক্যালসিয়াম আমাদের দাঁতকে মজবুত করতে এবং ভালো রাখতে খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান।

নিয়মিত কলা খেলে ইমিউনিটি সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। কারণ কলাতে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যেমন ফ্লাভোনয়েড যা আমাদের শরীরের ফ্রি রেডিকেল কে কম করতে সহায়তা করে যার ফলে আমাদের শরীরে কোষগুলি অক্সিজেন দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। এছাড়াও কলাতে রয়েছে ভিটামিন সি,ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই আর যা আমাদের বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করতে সহায়তা করে এবং আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ইমিউনিটি সিস্টেমকে আরো উন্নত করে। কলাতে রয়েছে মিনারেল হিসেবে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এই পটাশিয়াম আমাদের শরীরের রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন বা খেলাধুলা করতে খুব পছন্দ করেন তাদের খাদ্য তালিকায় কলা অন্তর্ভুক্ত করা খুবই প্রয়োজনীয়। কারণ আমরা যখন ব্যায়াম করি বা কোন কিছু খেলি তখন আমাদের শরীর থেকে অনেক বেশি মাত্রায় ঘাম হয়। যার কারণে আমাদের শরীর থেকে ইলেক্ট্রোলাইট অথবা খনিজ পদার্থ ঘামের সাথে বেরিয়ে যায়। কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল এবং খনিজ উপাদান যেমনঃ ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, আইরন এবং ফসফরাস ইত্যাদি।

আপনাদের মধ্যে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তাদের পাকা কলা খাওয়া উচিত। কারণ কলাতে থাকা ফাইবার পেট পরিষ্কার করতে সহায়তা করে।অথবা আপনি যদি পেট খারাপের সমস্যায় ভুগেন তাহলে আপনি কাঁচাকলা খেলে খুব উপকৃত হবেন।কলা মিনারেল,পটাশিয়াম,ভিটামিন সি এবং অন্যান্য আরও খনিজ উপাদানে ভরপুর।যাদের কোন অসুখের কারণে পটাশিয়াম যুক্ত ফল বা খাবার খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয়েছে,তাদের জন্য কলা না খাওয়াই উত্তম।

এবং যাদের ওজন অতিরিক্ত কম তাদেরকেও কলা খেতে বলা হয়। কারণ কলাতে ক্যালরির পরিমাণ অন্যান্য ফলের তুলনায় অনেকটা পরিমাণে বেশি। কলাতে লেকটিন নামক একটি প্রোটিন পাওয়া যায়। এই লেকটিন ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষ যেমন লিউকোমিয়ারের বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে।

কলা খাওয়ার অপকারিতা

১। রাতে কলা না খাওয়ায় ভালো রাতে কলা খেলে অনিদ্রার সমস্যা দেখা দিতে পারি।

২। যদি আপনার ঠান্ডা লেগে থাকে তাহলে কলা না খাওয়াই উচিৎ কারণ অতিরিক্ত পরিমাণে কলা খেলে আমাদের ঠান্ডা লাগার প্রবণতা আরো বেড়ে যায়। এবং শিশুদের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।

৩। অতিরিক্ত মাত্রায় কলা খেলে আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধি হতে পারে।

৪। কলাতে অতিরিক্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট এবং সুগার রয়েছে তাই খুব বেশি কলা সেবন করলে বা খেলে দাঁতের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

People also ask:

সকালে খালি পেতে কলা খাওয়া যাবে কি?

সকালবেলা কলা খাওয়া ভালো কিন্তু খালি পেটে নয়।কলা রক্তে থাকা পটাশিয়াম,ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের ভারসাম্যকে নষ্ট করতে পারে।পরবর্তীতে এই সমস্যা আরও বেড়ে গিয়ে হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কলা খেলে শরীরের কি কি উপকার হয়?

কলা প্রচুর পরিমানে শর্করা এবং ফাইবার বা আঁশ সমৃদ্ধ। কলা খেলে পেট ভরা ভরা লাগে এবং খিদেও কমে যায়। তাই আপনারা যারা ডায়েট করতে চান তাদের খাদ্য তালিকায় কলা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এছাড়াও কলা রক্তে সুগারের মাত্রা কমায় এবং ইনসুলিন হরমোনের প্রতি শরীরের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন